আমাদের কর্মপদ্ধতি
১। স্কুলবিমূখ শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষার সুফল সম্পর্কে অবগত করে স্কুলমুখী করা এবং অমনোযোগী শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে লেখাপড়ায় মনোযোগ ফিরিয়ে আনা।
২। দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের শিক্ষার্থী, যারা অর্থনৈতিক সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে লেখাপড়া থেকে অকালে ঝরে পড়ে, তাদের খুঁজে বের করে লেখাপড়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৩। শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের অভিভাবকদের সাথে শিক্ষার মান উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা ও লেখাপড়া করার অনুকুল পরিবেশ তৈরি করা।
৪। শিক্ষা কার্যক্রমের মুল্যায়ন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগতকরণ এবং পূর্ববর্তী ভুলভ্রান্তির উপর ভিত্তি করে পরবর্তী বছরের জন্য নতুন উদ্দীপনায় লেখাপড়া শুরু করতে আগ্রহী করে তোলা।
৫। শিক্ষার্থীদের ভিতরে লুকায়িত প্রতিভা খুঁজে বের করে আনার অভিপ্রায়ে বিভিন্ন প্রকার শিক্ষা বিষয়ক প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা এবং পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহিত করা।
৬। সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ এই মহাসত্য বাণীটিকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের বন্ধু নির্বাচন বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করা।
৭। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত শৃঙ্খলার মানোন্নয়নের পাশাপাশি পারিবারিক তথা সামাজিক পরিবেশের উন্নয়ন সাধনে উৎসাহিত করা।
৮। ক্রীড়া ও সংস্কৃতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার এই তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মনা করে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা।
৯। স্ব-স্ব ধর্মীয় কাজে উৎসাহিত হয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশের মত একটি মন গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা।
খ। কার্যাধীন এলাকার দুস্থ, দরিদ্র, ভূমিহীন, শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের, স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসুচী গ্রহণ করা।
গ। শিশু কল্যাণ, যুবকল্যাণ, নারীকল্যাণ, শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণ সাধন করা।
ঘ। কার্যাধীন এলাকার জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য সচেতনতা ও পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ।
ঙ। নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে গণশিক্ষা ও বয়স্কশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং শিশু শ্রম রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
চ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা ও ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণকে সাহায্য করার লক্ষ্যে ত্রাণ বিতরণ ও পূনর্বাসন কর্মসূচী গ্রহণ করা।
ছ। কার্যাধীন এলাকায় বাল্যবিবাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ করা।
জ। বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারের জন্য স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবামূলক কর্মসূচী গ্রহণ করা।
ঝ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সামাজিক বনায়ন ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচী গ্রহণ করা।
ঞ। শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও বেকার যুবক-যুবতীদের আত্মনির্ভরশীল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন আয়বর্ধক কর্মকান্ড পরিচালনা করা। যেমনঃ গবাদি পশু পালন, হাঁস-মুরগী পালন, মৎস্য চাষ, সেলাই ও এমব্রয়ডারী, ইত্যাদি বিভিন্ন ট্রেন্ডে প্রশিক্ষণ কর্মসূচী গ্রহণ করা।
ট। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস সমূহ যথাযথ মর্যাদায় পালনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।